ভূমিকা: ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। মাত্র ৫৯০ বর্গ মাইলের ছোট্ট এই শহরে প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। এই শহরকে কেন্দ্র করে জীবন জীবিকার জন্য প্রতিদিন গড়ে ১০,০০০ মানুষ শহরে আসা যাওয়া করে। আর বাংলাদেশের সব কিছু প্রানকেন্দ্র ঢাকা শহর। তাই প্রতিনিয়তই গ্রাম থেকে মানুষ ঢাকামুখী হচ্ছে। এভাবেই দিনদিন ঢাকা শহরের জনসংখ্যা বেড়ে চলছে। ঢাকা পৃথিবীর অন্যতম ঘন বসতিপূর্ণ রাজধানী। বিরামহীনভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এক কালের সুন্দর ঢাকা শহর আজ পরিনত হয়েছে অপরিকল্পিত ও দূষণের নগরী হিসেবে পরিচিত। ঢাকা শহর এখন বিশ্বের অন্যতম অনুপযোগী শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যেভিক্তিক আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের ‘বৈশ্বিক বসবাস উপযোগিতা’ শীর্ষক এক জরিপে দেখা যায়, বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসের অযোগ্য শহর হল ঢাকা।
রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের একটি জাতি গোষ্ঠী যারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অধিবাসী। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যটি বাংলাদেশের দক্ষিন-পূর্ব জেলা বান্দরবান ও কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী রাজ্য। এক সময় এই রাজ্যটি নাম ছিল রোসাঙ্গা। পরে এর নামকরণ করা হয় আরাকান। আর ১৯৮৯ সালে মিয়ানমারে নামকরণে বড় ধরণের পরিবর্তন আসে। তখন বার্মা থেকে মিয়ানমার করা হয় এবং একই সাথে আরাকান থেকে রাখাইন করা হয়। রাখাইন রাজ্যেই রোহিঙ্গারা কয়েক শত বছর ধরে বসবাস করে আসছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশির ভাগই মুসলমান তবে তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যাক হিন্দুও রয়েছে। রাখাইন রাজ্যটি অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দশক পর্যন্ত স্বাধীন একটি রাজ্য ছিল। কিন্তু ১৭৮৪ সালে বার্মা রাজা তৎকালীন আরাকান দখল করলে এটা বার্মার অধীনে আসে। পরে ১৮২৩ সালে ব্রিটেন মায়ানমার দখল করলে আরাকানও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৩৮-৪২ সালে প্রথম আরাকানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়। তখন বার্মার বৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদের উপর হামলা চালায়। তখন জীবন বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ বাংলাদেশে আসে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ সালের মার্চ মাসে জাপানিদের সহযোগীতায় মিয়ানমারের বৌদ্ধরা ৫,০০০ রোহি